পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, দ্রুত টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।
জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নয়েলিন হেইজার বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং এর সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়।
মানবিক বিবেচনায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ দিন অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক, পরিবেশসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে টেকসই প্রত্যাবাসনই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজমান হতাশা তাদেরকে আইন বিরোধী কর্মকাণ্ডসহ উগ্রবাদে সম্পৃক্ত করতে পারে বলে মন্ত্রী শঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনটা হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠবে, মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ ধরে রাখতে এবং রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশসমূহে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তবে, এক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের ভূমিকাই মুখ্য বলে তিনি স্বীকার করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চলমান দ্বিপাক্ষিক ও ত্রিপাক্ষিক প্রচেষ্টার বিষয়ে বিশেষ দূতকে অবহিত করেন। মিয়ানমারে সৃষ্ট এই সমস্যার সমাধান একমাত্র মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে যে সকল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা তাদের প্রত্যাবাসনের পরে রাখাইন সমাজে টেকসই সহাবস্থানে সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন মোমেন।